মেয়েদের পচানোর সেরা মেসেজ/কমেন্ট: ১০০% কার্যকরী

মেয়েরা মনে করে পৃথিবীটা তাদের রূপের জাদুতে চলে, কিন্তু আমরা ছেলেরা জানি আসল জাদুর নাম ‘মেকআপ’ আর ‘ফিল্টার’! তাদের এই তথাকথিত “নিখুঁত” ভাবটাকে একটু ফাটল ধরিয়ে দিতে এবং তাদের সাথে মিষ্টি মধুর ঝগড়া বাধিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের আজকের এই আয়োজন। বন্ধুদের আড্ডায় বা সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েদের একটু পচানি দিতে সেরা সব রসালো কথাগুলোই এখানে জড়ো করা হয়েছে।

মেয়েদের রাগানোর নাম (আনকমন এমন সব নাম যা শুনেই রেগে যাবে)

গেছো পেত্নী সারাদিন তো লাফালাফিই করো, তাই এই নামটাই পারফেক্ট।

শুকনা মরিচ রাগলে তো পুরো আগুনের মতো জ্বলে ওঠো, তাই এই নাম।

আটার বস্তা মুখে যা মেকআপ লাগাও, আটার বস্তাই মনে হয়।

ভাঙা রেডিও একবার কথা শুরু করলে আর থামার নাম নেই, ঘ্যানঘ্যান চলতেই থাকে।

লেডি হিটলার তোমার হুকুমের জ্বালায় আশেপাশে কেউ টিকতে পারে?

পচা শামুক মুখটা তো সবসময় বাংলার পাঁচের মতো করে রাখো।

ঝাড়ু শলা এত চিকন হলে তো বাতাসে উড়ে যাবা, পকেটে পাথর রেখো।

হুতুম প্যাঁচা রাতে না ঘুমিয়ে চোখ দুটো তো এমনই গোল গোল করে রাখো।

ডিজিটাল ডাইনি আধুনিক যুগের ডাইনি, এখন ঝাড়ু ছেড়ে মোবাইলেই ওড়ে।

দেড় ফুট লম্বা হওয়ার স্বপ্নটা মনে হয় স্বপ্নই থেকে গেল।

ড্রাম যে হারে খাওয়া শুরু করেছ, ড্রাম হতে বেশি দেরি নেই।

খিটখিটে বুড়ি অল্প বয়সেই যা মেজাজ, বুড়ি হলে না জানি কী হবে!

বন বিড়াল কথায় কথায় আঁচড় আর কামড় দিতে ওস্তাদ।

চশমিশ চশমা ছাড়া তো দুনিয়াটা ঝাপসা দেখো, চারটা চোখ তো এমনি এমনি বলি না।

মশা মারা ব্যাট চেহারার যা অবস্থা, মশাও কাছে আসতে ভয় পায়।

ঝগড়াটে কাক গলার যা আওয়াজ, কাকের চেয়ে কম না।

বাঁশ পাতা এতই শুকনা যে পাশ দিয়ে জোরে বাতাস গেলেও ভয় লাগে।

টিভি সিরিয়াল জীবনে ড্রামা আর কান্নাকাটি ছাড়া কিছু নেই তোমার।

ছিঁচকাঁদুনে কথা নেই বার্তা নেই, ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না শুরু।

ভটভটি সারাদিন কানের কাছে ভটভট করতেই থাকো, মাথাটা ধরায় দিলে।

মেয়েদের রাগানোর ক্যাপশন

পাঁচশটা সেলফি তোলার পর একটা ছবি বেছে নিয়ে ক্যাপশন দেয় ‘র‍্যান্ডম ক্লিক’, এদের সততা দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।

মুখে মেকআপের পুরো দোকান নিয়ে ঘুরে বেড়াবে, আর ছবিতে হ্যাশট্যাগ দেবে ‘ন্যাচারাল বিউটি’, এই কনফিডেন্স ধুয়ে পানি খাওয়া উচিত।

মেয়েরা তৈরি হতে মাত্র দুই মিনিট সময় চায়, কিন্তু এদের সেই দুই মিনিট আর পৃথিবীর ঘড়ির কাঁটা কখনোই এক নিয়মে চলে না।

ডায়েট করার নামে সারাদিন না খেয়ে থাকবে, কিন্তু রাতের বেলা ফ্রিজ খালি করে বলবে বাতাস খেয়েই নাকি মোটা হয়ে যাচ্ছে।

এদের ফোনের গ্যালারি চেক করলে নিজের ছবি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না, যেন নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় ফ্যান।

আয়নার সামনে দাঁড়ালে এদের আর কোনো কাজ থাকে না, দুনিয়া ধ্বংস হয়ে গেলেও পোজ দেওয়া বন্ধ হবে না।

এরা ঝগড়া করার সময় পাঁচ বছর আগের ইতিহাসের খাতা খুলে বসে, তখন মনে হয় গুগলও এদের মেমোরির কাছে ফেল করবে।

শপিংয়ে গিয়ে পুরো মার্কেট ঘুরবে, শেষে বলবে কিছুই পছন্দ হলো না, এদের সন্তুষ্ট করা আর হেঁটে চাঁদে যাওয়া সমান কথা।

এদের মুড সুইং বোঝার ক্ষমতা স্বয়ং আইনস্টাইনেরও ছিল না, সকালবেলার আবহাওয়া আর এদের মেজাজ—দুটোই আনপ্রেডিক্টেবল।

মেয়েদের রাগানোর ফেসবুক ক্যাপশন

মেয়েদের লজিকের সাথে তর্ক করতে যাওয়া আর শক্ত দেয়ালের সাথে কথা বলা একই ব্যাপার, দিনশেষে মাথা আপনারই ব্যথা করবে।

ভুল যারই হোক, সরিটা আপনাকেই বলতে হবে—এটাই মেয়েদের অলিখিত সংবিধানের এক নম্বর ধারা।

এরা মুখে যখন বলে ‘আমি ঠিক আছি’, তখন ওই ‘ঠিক আছি’র মানে যে কত বড় বিপদ সংকেত, সেটা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানে।

ফেসবুকে এদের প্রোফাইল পিকচার দেখে প্রেমে পড়বেন না, বাস্তবে দেখলে চিনতে না পারার গ্যারান্টি একশ ভাগ।

পৃথিবীর সব রহস্য সমাধান করা গেলেও মেয়েরা আসলে মনে মনে কী চায়, সেই রহস্যের সমাধান কেয়ামত পর্যন্ত হবে না।

অনলাইনে অর্ডার করে এক জিনিস, আর হাতে পাওয়ার পর কান্নাকাটি করে আরেক জিনিসের জন্য, এদের শপিং লজিক বোঝা বড় দায়।

মেয়েরা তর্কে কখনো হার মানে না, এরা হঠাৎ চুপ হয়ে যায় মানে পরবর্তী বড় কোনো ঝড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এদের সাথে কথা বলার সময় লজিক পকেটে রেখে কথা বলাই ভালো, কারণ এখানে শুধুই আবেগের সরকার চলে, যুক্তির কোনো স্থান নেই।

মেয়েদের পচানোর সেরা মেসেজ

ছবিতে এডিট আর ফিল্টার এতটাই বেশি দিয়েছ যে, বাস্তবে সামনে এলে তোকে চিনতে ডিএনএ টেস্ট লাগবে।

এত ভাব নিস না, তোর ভাব দেখে মনে হচ্ছে অক্সিজেনটাও ব্র্যান্ডেড কোম্পানি থেকে কিনিস।

তোর ঝগড়ার যা স্পিড, মনে হয় গত জন্মে সিএনজি ড্রাইভার ছিলি।

মুখে ২ কেজি ময়দা মেখে কিউট সাজার চেষ্টা করিস না, আটা-ময়দার দাম বেড়ে গেছে।

তোর ভয়েস শুনলে তো কাকেরাও ডিপ্রেশনে চলে যাবে, দয়া করে গান গাস না।

পকেটে ১০ টাকা নেই, অথচ ভাব দেখে মনে হয় বাপের নাম বিল গেটস।

সারাদিন না খেয়ে ‘ডায়েট’ করছিস, নাকি বাসায় খাবার নেই—সেটা আগে ক্লিয়ার কর।

তোর মাথার ভেতরে মগজ আছে নাকি গোবর, মাঝে মাঝে খুব ডাউট হয়।

নাটক করা বন্ধ কর, অস্কারের কমিটি তোকে খুঁজছে না।

তোর বুদ্ধির লেভেল নার্সারির বাচ্চার চেয়েও নিচে, কথা কম বল।

আয়নার সামনে দাঁড়ালে আয়নাও কনফিউজড হয়ে যায়—এটা মানুষ নাকি কার্টুন!

তোর হাসি দেখলে মনে হয় ট্রাকের টায়ার লিক হয়ে বাতাস বের হচ্ছে।

মেয়েদের রাগানোর এস এম এস (ভাল কথার মাঝে হঠাৎ)

ভাব দেখে মনে হয় ডানা কাটা পরী, অথচ বাস্তবে তো ডানা কাটা পেত্নী।

মাথার ওপরে কি অ্যান্টেনা আছে? সব কথা ওপর দিয়েই যায় কেন?

খাওয়ার সময় তো কুমির, আর সাজগোজের সময় নিজেকে খুব হিরোইন মনে হয়!

তোর সাথে কথা বলার চেয়ে দেয়ালের সাথে কথা বলাও বেশি লাভজনক।

বাপের হোটেলে খেয়ে দেয়ে আর কতদিন অকেজো হয়ে থাকবি? এবার একটু কাজের হ।

চেহারার যা অবস্থা, তাতে অ্যাটিটিউড মানায় না, কমেডি মানায়।

মেয়েদের রাগানোর স্ট্যাটাস

মেয়েদের বয়স আর ওজন জিজ্ঞেস করতে নেই, এটা ভদ্রতা নয় বরং জীবনের ঝুঁকি! কারণ সত্যটা শুনলে আপনি হার্ট অ্যাটাক করবেন, আর মিথ্যা শুনলে হাসতে হাসতে মারা যাবেন।

সৃষ্টিকর্তা মেয়েদের মুখে কোনো ‘পজ’ বাটন দেননি কেন, সেটা এক রহস্য। বকবকানি থামানোর একমাত্র উপায় বোধহয় মুখের সামনে পিৎজা বা ফুচকা ধরা!

আপনার রূপের অহংকারটা বৃষ্টির জলের মতো, এক পশলা বৃষ্টিতেই মেকআপের সাথে ধুয়ে নর্দমায় চলে যায়। তাই এত ভাব না নিয়ে আগে ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ কিনুন!

মেয়েদের শখ মেটানো আর সমুদ্র সেচে জল কমানো একই ব্যাপার—দুটোই অসম্ভব! বাপের হোটেলের টাকা ধ্বংস করতে এদের জুরি মেলা ভার।

নিজেকে সেলিব্রিটি ভাবা বন্ধ করুন, কারণ আপনার ফলোয়াররা আপনার ফ্যান নয়, তারা শুধু আপনার ফিল্টার আর এডিটিং স্কিলের ভক্ত।

মেয়েরা বলে ছেলেরা নাকি সব একরকম হয়। তা বলি, আপনারা কি সব ছেলেকে ট্রাই করে দেখেছেন নাকি? এক্সপেরিয়েন্স তো মাশাল্লাহ কম নয়!

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবেন “বিশ্বসুন্দরী”, কিন্তু আধার কার্ডের ছবিটা দেখলে নিজেরই হার্ট ফেইল হওয়ার জোগাড় হয়। বাস্তবতা বড্ড কঠিন, ম্যাডাম!

মেয়েদের মন আর চাইনিজ প্রোডাক্টের কোনো গ্যারান্টি নেই। এই ভালো তো এই খারাপ, কখন যে বিগড়ে যাবে তা স্বয়ং বিজ্ঞানীদেরও অজানা।

মেয়েদের অপমান মেয়েদের রাগানোর ফেসবুক স্ট্যাটাস

ফেসবুকে আপনাদের ছবি দেখলে মনে হয় স্বর্গের অপ্সরা, আর বাস্তবে দেখলে মনে হয় রেশন কার্ডের ছবি! এডিটিং অ্যাপগুলো আপনাদের পাপের ভাগীদার হবে, জেনে রাখুন।

সারাদিন সাজুগুজু করে ছবি আপলোড দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো—পাড়ার ছেলেদের দিয়ে “নাইস পিক” কমেন্ট করানো। এই সস্তা অ্যাটেনশন নিয়েই এদের দিন কাটে।

আজকালকার মেয়েদের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস আবহাওয়ার চেয়েও দ্রুত বদলায়। সকালে “জান বাবু”, আর বিকেলে “তুমি কে ভাই?”—এদের বিশ্বাস করা আর নিজের পায়ে কুড়াল মারা একই।

ছেলেরা প্রেমে পড়লে কবি হয়, আর মেয়েরা প্রেমে পড়লে গোয়েন্দা হয়। বয়ফ্রেন্ডের ফোনের পাসওয়ার্ড হ্যাক করাই এদের জীবনের একমাত্র মিশন।

ফেসবুকে “প্রিন্সেস” নাম দিলেই রাজকন্যা হওয়া যায় না। বাস্তবে তো আপনারা মায়ের হাতের ঝাড়ুর বাড়ি খাওয়া একেকজন সিন্ডারেলা!

মেয়েরা ভাবে ছেলেরা তাদের পেছনে ঘোরে, কিন্তু তারা জানে না ছেলেরা আসলে তাদের পেছনে ঘোরা পোকা-মাকড় তাড়াতেই ব্যস্ত থাকে! ভুল ধারণা ভাঙুক।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *