বেকারত্ব নিয়ে উক্তি: ৩৫৮+ বেকার ছেলের কষ্টের স্ট্যাটাস
পকেটে টাকা না থাকলে শহর, সমাজ, এমনকি নিজের ছায়াটাও বড্ড অচেনা মনে হয়। সার্টিফিকেটের ফাইলটা বগলদাবা করে রোজ সকালে বের হওয়া আর দিনশেষে একরাশ হতাশা নিয়ে ঘরে ফেরার নামই বেকার জীবন। এই কঠিন সময়ে নিজের মনের অবস্থা প্রকাশ করার মতো বেকারত্ব নিয়ে উক্তি বা স্ট্যাটাস অনেকেই খোঁজেন, যা তাদের যন্ত্রণার সঙ্গী হতে পারে। সেইসব সংগ্রামী ভাইদের না বলা কথাগুলো দিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের এই আয়োজন।
বেকারত্ব নিয়ে উক্তি: Quotes about unemployment
হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান। তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান। – কাজী নজরুল ইসলাম
অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়। – উইলিয়াম শেক্সপিয়ার
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা, আর বেকারত্ব হলো সেই কারখানার প্রধান জ্বালানি। – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন
একজন মানুষের পকেটে যখন টাকা থাকে না, তখন সে পৃথিবীকে এবং মানুষকে তার আসল রূপে চিনতে পারে। – চার্লি চ্যাপলিন
কাজই হলো মানুষের জীবনের আসল সার্থকতা। কর্মহীন জীবন হলো মৃত্যুরই নামান্তর। – স্বামী বিবেকানন্দ
ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ঈশ্বর রুটি হয়ে আসেন। একজন বেকার মানুষের কাছে চাকরিটা ঈশ্বরের চেয়ে কম কিছু নয়। – মহাত্মা গান্ধী
দারিদ্র্য কোনো অপরাধ নয়, কিন্তু বেকারত্বকে মেনে নিয়ে বসে থাকাটা অপরাধ। – কনফুসিয়াস
যার হাতে কোনো কাজ নেই, তার মনের মধ্যে হাজারটা দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধে। – সক্রেটিস
যুবসমাজের বেকারত্ব হলো সমাজের মেরুদণ্ডে আঘাত করার মতো। তাদের শক্তি কাজে লাগাতে না পারলে জাতির উন্নয়ন অসম্ভব। – নেলসন ম্যান্ডেলা
পকেটে টাকা না থাকলে, মন যতই উদার হোক না কেন, পৃথিবী তাকে কঞ্জুস বলেই ডাকে। – হুমায়ূন আহমেদ
বেকার জীবন নিয়ে উক্তি
মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেগুলোই পৃথিবীর আসল রূপ দেখতে পায়। তাদের পকেটে টাকা থাকে না, কিন্তু বুকে আকাশছোঁয়া স্বপ্ন থাকে। – হুমায়ূন আহমেদ
বেকার ছেলের প্রেমিকা হওয়া সহজ, কিন্তু তার স্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা কঠিন। সমাজ প্রেমকে স্বীকৃতি দিলেও বেকারত্বকে দেয় না। – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটা জানে, তার সার্টিফিকেটের ওজন কাগজের ওজনের চেয়ে অনেক বেশি। – সমরেশ মজুমদার
টাকা ছাড়া পুরুষ মানুষের কোনো মূল্য নেই। তার চরিত্র যতই ভালো হোক, সমাজ তাকে ব্যর্থতার তকমা লাগিয়ে দেয়। – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বেকারত্ব হলো এক জ্বলন্ত আগুনের মতো, যা তিলে তিলে মানুষের আত্মবিশ্বাস ও স্বপ্নকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। – আনিসুল হক
পুরুষ মানুষের কান্না করতে নেই, কিন্তু পকেটে যখন শূন্যতা আর কাঁধে যখন দায়িত্বের বোঝা থাকে, তখন তার কান্না আটকানো দায়। – রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু হলো বাবার কাঁধে বেকার ছেলের লাশ, আর সবচেয়ে ভারী দীর্ঘশ্বাস হলো বেকার ছেলের বাবার নীরব চাহনি। – চে গুয়েভারা (ভাবানুবাদ)
বেকার জীবনটা হলো একটা যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে প্রতিদিন নিজের সাথে, সমাজের সাথে আর পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। – এ. পি. জে. আবদুল কালাম
বেকার জীবনের কঠিন বাস্তবতা নিয়ে ক্যাপশন
উৎসবের দিনগুলো যখন সবার জন্য আনন্দের, তখন আমার জন্য সেটা একরাশ দীর্ঘশ্বাস আর নিজেকে আড়াল করার অজুহাত মাত্র।
সবাই যখন ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে, আমি তখন ভাবি আরও একটা মাস পেরিয়ে গেল, অথচ জীবনটা যেখানে ছিল সেখানেই আটকে আছে।
আত্মীয়রা যখন ফোন করে খোঁজ নেয়, তখন বুকের ভেতরটা কেঁপে ওঠে—এই বুঝি জিজ্ঞেস করে বসবে, “বাবা, এখন কী করছ?”
রাতের অন্ধকারে যখন সবাই ঘুশায়, তখন ছাদের কোণে দাঁড়িয়ে নিজের সাথে নিজের যুদ্ধটা আমি একাই লড়ি, কেউ দেখে না।
বেকারত্বের জীবনটা অদ্ভুত, এখানে সকাল হয় হতাশা দিয়ে আর রাত নামে একবুক অনিশ্চয়তা নিয়ে।
যে সমাজ সফল হলে মাথায় তুলে নাচে, সেই সমাজই বেকার থাকলে এমনভাবে তাকায় যেন আমি কোনো বড় অপরাধ করে ফেলেছি।
মানুষের ভিড়ে নিজেকে লুকিয়ে রাখাটা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, কারণ ব্যর্থ মানুষের গল্প শোনার সময় কারো নেই।
পরিবারের বোঝা ও বেকারত্ব নিয়ে ক্যাপশন
বাবার হাতে ওষুধ তুলে দেওয়ার বদলে যখন বাবার কাছেই হাত পাততে হয়, তখন মনে হয় মাটির সাথে মিশে যাই।
খাবার টেবিলে সবার সাথে বসে খেতেও এখন সংকোচ হয়, মনে হয় আমি যেন এই সংসারের এক বাড়তি বোঝা, যার কোনো প্রয়োজন নেই।
মায়ের চোখের দিকে তাকালে এখন আর মমতা দেখি না, দেখি একরাশ উদ্বেগ আর গোপন কান্না, যা আমাকে প্রতি মুহূর্তে বিদ্ধ করে।
যে বয়সে আমার কাঁধে পুরো সংসারের দায়িত্ব থাকার কথা, সেই বয়সে আমিই সংসারের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে আছি।
নিজের ঘরেই যখন নিজেকে মেহমান মনে হয়, তখন বুঝতে বাকি থাকে না যে উপার্জনের ক্ষমতা না থাকলে আপন মানুষগুলোও পর হয়ে যায়।
প্রতিটা দিন কাটে অপরাধবোধে, মনে হয় আমার অস্তিত্বটাই এই পরিবারের সুখের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাবার জমানো টাকায় নিজের শখ পূরণ করা তো দূরের কথা, সাধারণ প্রয়োজন মেটাতেই এখন লজ্জা লাগে, আত্মসম্মানটা ধুলোয় মিশে গেছে।
সবাই ভাবে আমি অলস, কিন্তু কেউ জানে না একটা চাকরির জন্য আমি কতটা পথ হেঁটেছি, কত মানুষের দুয়ারে গিয়ে ফিরে এসেছি।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে অনেক দূরে কোথাও চলে যাই, যেখানে আমার জন্য কাউকে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হবে না, কেউ আমাকে বোঝা ভাববে না।
বেকার ছেলের কষ্টের স্ট্যাটাস (একদম বাস্তবতা)
পকেটের ওজন যত কমে, সম্পর্কের বাঁধনগুলোও ঠিক ততটাই আলগা হতে থাকে।
বাবার কাঁধের বোঝা কমানোর বয়স, অথচ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে নিজেই পরিবারের বোঝা হয়ে আছি।
সার্টিফিকেটগুলো আজ শুধু ফাইলের শোভা বাড়ায়, পেটের ক্ষুধা মেটাতে ওগুলোর কোনো ভূমিকা নেই।
বেকার ছেলের হাসির আড়ালে যে কত অপমান লুকিয়ে থাকে, তা শোনার মতো সময় এই ব্যস্ত শহরের নেই।
মধ্যবিত্ত ঘরের বেকার ছেলেটা জানে, নিজের স্বপ্নগুলোকে খুন করে কীভাবে হাসিমুখে বেঁচে থাকতে হয়।
সকালের সূর্যটা অন্যদের জন্য আশা নিয়ে এলেও, আমার জন্য নিয়ে আসে একরাশ হতাশা আর গ্লানি।
টাকার অভাবে যখন নিজের প্রয়োজনগুলোও মেটাতে পারি না, তখন নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে অক্ষম মানুষ মনে হয়।
বন্ধুদের আড্ডায় এখন আর যাওয়া হয় না, কারণ বিল দেওয়ার সামর্থ্য আর নিজের গল্প বলার সাহস—দুটোই হারিয়েছি।
সবাই সফলতা দেখে, কিন্তু সেই সফলতার সিঁড়ি খুঁজতে গিয়ে জুতো ক্ষয়ে ফেলার গল্পটা কেউ দেখে না।
বেকার ছেলের আর্তনাদ নিয়ে স্ট্যাটাস
শহরের প্রতিটি ল্যাম্পপোস্ট চেনে, আমার জুতোর তলা ক্ষয়ে যাওয়ার আর দীর্ঘশ্বাসের গল্প।
ইন্টারভিউ বোর্ডের ওই দরজাটা পেরোলেই, স্বপ্নগুলো বারবার ফিরে আসে খালি হাতে, একরাশ লজ্জা নিয়ে।
মামা-চাচার জোর নেই বলে, মেধা থাকা সত্ত্বেও আজ আমি সমাজের চোখে অযোগ্য।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি—সুকান্তের এই লাইনটাই এখন জীবনের একমাত্র সত্য।
হাজারটা সিভি জমা দিয়েও যখন ফোনের রিংটোন বাজে না, তখন বুকের ভেতরটা কেমন করে, তা কাউকে বোঝানো যাবে না।
যোগ্যতা যাচাইয়ের নামে যে প্রহসন চলে, তাতে প্রতিদিন কত শত তরুণের স্বপ্ন খুন হয়, তার হিসাব কেউ রাখে না।
চাকরির জন্য ঘুরতে ঘুরতে আজ আমি ক্লান্ত, তবুও পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে হার মানতে পারি না।
সমাজের বাঁকা চোখ আর অপমানের তীরের চেয়ে, বেকারত্বের জ্বালা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক।
দিনশেষে আয়নার সামনে দাঁড়ালে, নিজের প্রতিবিম্বটাকেও এখন বড্ড বেশি অচেনা আর অপরাধী মনে হয়।
সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই ফরিয়াদ, হয় একটা উপায় করে দাও, নয়তো এই শ্বাসটা থামিয়ে দাও।
বেকারত্ব ও প্রেম নিয়ে ইমোশনাল স্ট্যাটাস
বেকার প্রেমিকের প্রতিশ্রুতিগুলো, বাস্তবতার বাজারে সবসময়ই মূল্যহীন।
মেয়েটা হয়তো ভালোবাসতো, কিন্তু তার বাবার কাছে আমার বেকারত্বটাই ছিল একমাত্র অপরাধ।
সরকারি চাকরির নিয়োগপত্রটা যার আছে, দিনশেষে রাজকন্যাটা তার সাথেই সংসার সাজায়।
শূন্য পকেটে প্রেম হয় না, ওটা শুধু সিনেমার পর্দাতেই শোভা পায়, বাস্তবে নয়।
চোখের সামনে প্রিয় মানুষটা অন্য কারো হয়ে গেল, শুধু নিজের একটা পরিচয় নেই বলে আটকাতে পারলাম না।
বেকারত্ব শুধু স্বপ্ন কাড়ে না, কেড়ে নেয় বুকের বাম পাশের মানুষটাকেও।
ভালোবাসার মানুষটা হয়তো অপেক্ষা করতে চেয়েছিল, কিন্তু পরিস্থিতি আর দারিদ্র্য তাকে হার মানতে বাধ্য করেছে।
প্রতিষ্ঠিত হতে হতে দেখলাম, যাকে পাওয়ার জন্য এত যুদ্ধ, সে আজ অন্যের ঘরের ঘরণী।
প্রেমিকার বিয়ের কার্ডটা হাতে নিয়ে বোঝা যায়, জীবনে সফল হওয়ার চেয়ে বড় কোনো প্রতিশোধ নেই।
মধ্যবিত্ত বেকার ছেলের কষ্ট নিয়ে ফেসবুক পোস্ট
পকেটে যখন শূন্যতা থাকে, তখন পৃথিবীর সবচেয়ে আপন মানুষগুলোর চাওয়া-পাওয়াও বুকের ওপর পাথর হয়ে চাপে। মধ্যবিত্ত ঘরের বেকার ছেলেটা জানে, বাবার ছেঁড়া জুতো দেখেও না দেখার ভান করে থাকার যন্ত্রণা কতটা তীক্ষ্ণ। নিজের ক্ষুধাকে লুকিয়ে রেখে যে ছেলেটা হাসিমুখে বলে “বাইরে খেয়ে এসেছি”, তার পেটের ক্ষুধা হয়তো মেটে, কিন্তু বিবেকের দংশন তাকে প্রতি রাতে কুরে কুরে খায়।
সার্টিফিকেটের ফাইলটা বগলদাবা করে রোদে পুড়ে মাইলের পর মাইল হাঁটার নামই মধ্যবিত্তের সংগ্রাম। রিক্সাভাড়া বাঁচানোর জন্য যে ছেলেটা প্রতিদিন হাঁটছে, তার ঘামের গন্ধে মিশে থাকে এক বুক হতাশা আর পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর এক ব্যর্থ চেষ্টা। দিনশেষে ক্লান্ত শরীরে যখন সে বাড়ি ফেরে, তখন তার কাছে ব্যর্থতার গ্লানি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
বাবার রিটায়ারমেন্টের টাকা ফুরিয়ে আসছে, আর মায়ের ওষুধের তালিকাটা দিন দিন লম্বা হচ্ছে—এই সমীকরণ মেলানোর চেষ্টায় একজন বেকার যুবকের যৌবন ফুরিয়ে যায়। আয়নার সামনে দাঁড়ালে সে আর কোনো স্বপ্নচারী তরুণকে দেখে না, দেখে এক পরাজিত সৈনিককে, যে তার পরিবারের সামান্য প্রয়োজনটুকুও মেটাতে অক্ষম। মধ্যবিত্তের এই নীরব হাহাকার শোনার মতো কান সমাজের নেই।
মানিব্যাগের কোণায় লুকিয়ে রাখা শেষ দশ টাকার নোটটা বারবার মনে করিয়ে দেয়—স্বপ্ন দেখাটা মধ্যবিত্তের জন্য বিলাসিতা মাত্র। আত্মসম্মানবোধ আর অভাবের এই দ্বন্দ্বে প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে হাজারো সম্ভাবনাময় প্রাণ, যাদের খবর কেউ রাখে না।
বেকারত্ব আসলে দারিদ্র্য নয়, এটি এক ধরনের মানসিক মৃত্যু। যোগ্যতা থাকার পরেও কেবল মামা-চাচা বা অর্থের অভাবে যখন স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, তখন সৃষ্টিকর্তার ওপর থেকেও মাঝে মাঝে অভিমান হয়।
সমাজ ও পরিবারের চাপ নিয়ে বেকারত্বের পোস্ট
আত্মীয়-স্বজনের কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়াটা এখন আর আনন্দের নয়, বরং এক ধরনের আতঙ্কের নাম। “বাবা, এখন কী করছো?”—এই একটি প্রশ্ন যেন হাজারো বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী। তাদের কৌতূহলী চোখের আড়ালে যে উপহাস লুকিয়ে থাকে, তা একজন বেকার ছেলেকে জীবন্ত লাশ বানিয়ে দেয়।
পাশের বাসার আন্টির ছেলের সরকারি চাকরির গল্প শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। সমাজ আমাদের মানুষ হিসেবে বিচার করে না, বিচার করে পদবী আর বেতন দিয়ে। যতক্ষণ পকেটে টাকা নেই, ততক্ষণ তোমার মেধা, সততা বা মনুষ্যত্বের কোনো মূল্য এই সমাজের কাছে নেই। এখানে সফলতার একমাত্র মাপকাঠি হলো মাসশেষের বেতন।
সবচাইতে কাছের মানুষগুলোও যখন ধীরে ধীরে অচেনা হতে শুরু করে, তখন বুকের ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে যায়। বেকার ছেলেটা তখন বুঝতে পারে, ভালোবাসা বা সম্পর্ক—সবকিছুই আসলে অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। টাকা নেই তো ভালোবাসা নেই, এটাই আজকের পৃথিবীর ধ্রুব সত্য।
রাতগুলো এখন আর ঘুমের জন্য নয়, দুশ্চিন্তার জন্য বরাদ্দ। সমাজ ও পরিবারের প্রত্যাশার চাপে পিষ্ট হয়ে অনেক তরুণের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। তারা শুধু একটা সুযোগ চায়, একটু সহানুভূতি চায়। কিন্তু বিনিময়ে পায় শুধু খোঁটা আর অবহেলা।






