পিছনে তাকানো নিয়ে ক্যাপশন: ৩২৪টি নতুন সংগ্রহ
অতীত হলো এক অদ্ভুত আয়না। মাঝে মাঝে তাতে উঁকি দেওয়াটা যেমন জরুরি, আবার কখনো কখনো তা বোকামি। আপনার সেই পিছনে তাকানো নিয়ে ক্যাপশন খুঁজছেন? জীবনের এই ফিরে দেখা আর এগিয়ে চলার মুহূর্তগুলোকেই শব্দে সাজানো হয়েছে এই আয়োজনে।
পিছনে তাকানো নিয়ে উক্তি
পেছনে ফিরে তাকাই, তবে আফসোস করতে নয়। আমি কতটা পথ একাই লড়ে এসেছি, সেটা দেখতে। – একটি ট্রেন্ডিং লাইন
মাঝে মাঝে পেছনে ফিরে তাকালে নিজের জন্যই মায়া হয়। কত সহজে কত ভুল মানুষকে বিশ্বাস করেছিলাম। – একটি তিক্ত সত্য
পেছনে তাকালে দুটো জিনিস দেখা যায়—কিছু আফসোস আর কিছু শিক্ষা। আফসোসগুলো ভুলে গিয়ে শিক্ষাগুলো নিয়েই সামনে এগোতে হয়। – একটি জীবনমুখী কথা
মানুষ আসলে অতীত ভোলে না। শুধু অতীতটাকে সাথে নিয়ে বেঁচে থাকতে শিখে যায়। – হুমায়ূন আহমেদ
একটা সময় ছিল যখন ভাবতাম, ওগুলোই বুঝি জীবন। আর আজ পেছনে ফিরে তাকালে বুঝি, ওগুলোই তো জীবন ছিল। – ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত
পেছনে তাকানোর অভ্যাস আমার নেই। যা চলে গেছে, তা আমার জীবনে থাকার যোগ্যতাই রাখেনি। – একটি আধুনিক ভাবনা
আয়নার চেয়ে পুরোনো ছবির দিকে তাকাতে বেশি ভয় হয়। দুটো মানুষ বড্ড অচেনা লাগে। – একটি গভীর উপলব্ধি
পেছনে ফিরে তাকালে বুঝি, যা কিছু হারিয়েছি, তার চেয়ে ভালো কিছুই হয়তো ঈশ্বর আমার জন্য রেখেছেন। – বাস্তবতা
অতীতকে বেশি আঁকড়ে ধরতে নেই। বর্তমানের হাতটা তাহলে ফসকে যায়। – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পিছনে তাকানো নিয়ে স্ট্যাটাস
মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়াতে হয়। শুধু বিশ্রাম নিতে নয়, কতটা পথ একাই পেরিয়ে এলাম, সেই হিসেবটা মেলানোর জন্যও একটু পিছনে তাকাতে হয়।
ফেলে আসা পথটার দিকে তাকালেই বোঝা যায়, আজকের এই ‘আমি’-টা ঠিক কতখানি ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছে।
পিছনে তাকানো মানেই যে আফসোস করতে হবে, তা নয়। কখনো কখনো নিজের পার হয়ে আসা ঝড়ের শক্তিটা দেখতেও ফিরে তাকাতে হয়।
স্মৃতির আয়নায় যখনই পিছনে তাকাই, কিছু দৃশ্য হাসায়, আর কিছু দৃশ্য দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
সামনে এগোনোর নেশায় আমরা এতই মত্ত থাকি যে, ভুলেই যাই—পেছনের সেই রাস্তাটাই আমাদের আজকের ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছিল।
শিকড়টাকে ভুলে গেলে বৃক্ষটা বেশিদিন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তাই মাঝে মাঝে পিছনে তাকিয়ে নিজের শিকড়টাকেও একবার দেখে আসতে হয়।
পিছনে তাকালে একটা অদ্ভুত শূন্যতা কাজ করে। কত চেনা মুখ, কত চেনা গলি, সব কেমন ঝাপসা হয়ে গেছে সময়ের ধুলোয়।
পিছনে তাকানোটা একটা টাইম মেশিনের মতো। এক মুহূর্তেই আপনাকে আপনার সেরা আর সবচেয়ে খারাপ সময়টার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।
অতীত ও স্মৃতি নিয়ে পিছনে তাকানোর স্ট্যাটাস
ফেসবুকের ঐ ‘মেমোরি’গুলো আসলেই এক একটা মায়াবী ফাঁদ। এক নিমেষে ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই সোনালী অতীতে, যেখান থেকে আর ফিরতে ইচ্ছে করে না।
পুরনো অ্যালবামের পাতা ওল্টাতে গিয়ে দেখি, সময় বদলেছে, মানুষ বদলেছে, শুধু সেই হাসিমুখগুলো আজও অমলিন রয়ে গেছে ছবির ফ্রেমে।
পিছনে তাকিয়ে মনে হয়, সেই দিনগুলোই ভালো ছিল। কোনো জটিলতা ছিল না, ছিল শুধু একরাশ নির্মল আনন্দ।
কিছু স্মৃতি থাকে, যা মনে পড়লে ঠোঁটের কোণে হাসি ফোটে ঠিকই, কিন্তু চোখের কোণটাও ভিজে ওঠে।
আজ বড্ড ইচ্ছে করছে পিছনে তাকিয়ে সেই পুরনো ‘আমি’-টাকে ফিরিয়ে আনতে।
পুরনো ডায়েরির ভাঁজে শুধু অক্ষর নয়, একটা গোটা সময় লুকিয়ে থাকে।
পিছনে তাকিয়ে দেখি, কত প্রিয়জনকেই ফেলে এসেছি। স্মৃতিরা আজও সতেজ, শুধু মানুষগুলোই আজ বড্ড বেশি দূরে।
স্কুলের সেই চেনা বেঞ্চটা, কলেজ ক্যান্টিনের সেই আড্ডা—আজ পিছনে তাকিয়ে দেখি, ওগুলো শুধু জায়গা ছিল না, ওগুলোই আমার জীবনের সেরা সময় ছিল।
অতীতটা একটা আয়নার মতো। পিছনে তাকালেই দেখায়, আমরা কতটা বদলে গেছি।
পিছনে তাকিয়ে শেখা জীবনের শিক্ষা নিয়ে স্ট্যাটাস
পিছনে তাকাই আফসোস করতে নয়, শিখতে। ফেলে আসা ভুলের খাতাটাই আমার জীবনের সেরা শিক্ষক।
আজকের এই পরিণত ‘আমি’-টা তৈরি হতো না, যদি না পিছনে তাকিয়ে সেই কাঁচা বয়সের ভুলগুলোকে চিনতে পারতাম।
যখনই মনে হয় আর পারছি না, তখনই একবার পিছনে তাকাই। দেখি, কত বড় ঝড় একাই সামলে এসেছি।
ফেলে আসা পথটা মসৃণ ছিল না, কিন্তু ধন্যবাদ সেই সব কাঁকড়ময় রাস্তার। ওগুলোই আমাকে শিখিয়েছে, কীভাবে শক্ত পায়ে দাঁড়াতে হয়।
পিছনে তাকিয়ে দেখি, কত মানুষ চিনেছি। কে বন্ধু, আর কে ছিল মুখোশধারী—এই শিক্ষাটা অতীত ছাড়া আর কেউ দিতে পারত না।
আমি পিছনে তাকাই, যেন একই গর্তে দুবার পা না পড়ে।
আমার ফেলে আসা সময়টা আমার কাছে একটা কম্পাসের মতো। যখনই বর্তমানে পথ হারিয়ে ফেলি, পিছনে তাকিয়ে দেখে নিই—কোথা থেকে শুরু করেছিলাম।
যে আঘাতগুলো আমাকে সেদিন ভেঙে ফেলেছিল, আজ পিছনে তাকিয়ে দেখি—সেই ভাঙনগুলোই আমার সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ হয়ে উঠেছে।
জীবন আমাকে যা যা শিখিয়েছে, তার জন্য অনেক বড় মূল্য দিতে হয়েছে।
পিছনে তাকানো নিয়ে ক্যাপশন
ফেলে আসা পথটাই আমার আজকের ‘আমি’-এর আসল কারিগর।
পেছনের আয়নাটা ঝাপসা হলেও, ওখানেই আমার শেকড়টা দেখা যায়।
সব ফিরে দেখা নস্টালজিয়া নয়, কিছু ফিরে দেখা হলো গভীর দীর্ঘশ্বাস আর শিক্ষা।
পিছনে তাকিয়ে দেখি, কত চেনা মুখ অচেনা হয়ে গেছে।
যেখান থেকে শুরু করেছিলাম, সেই জায়গাটার দিকে আজ একবার ফিরে তাকালাম।
যখন থমকে দাঁড়াই, সেটা হার মানা নয়; সেটা শুধু ফেলে আসা পথের হিসাব মেলানো।
পেছনের গল্পটা না জানলে, সামনের গল্পের মূল্য বোঝা যায় না।
বর্তমানের ‘আমি’টা আসলে আমার অতীতের করা সব ভুলের এক একটা সংশোধিত সংস্করণ।
ফিরে দেখাটা জরুরি, তবে ফিরে যাওয়াটা নয়।
স্মৃতির পাতায় পিছনে তাকানো নিয়ে ক্যাপশন
পুরোনো অ্যালবামের পাতা ওল্টাতেই মনে হলো, সময়টা কত দ্রুত চলে গেল!
স্মৃতির পাতাগুলো আজ বড্ড বেশি ভারী, বড্ড বেশি জীবন্ত।
ডায়েরির ভাঁজে শুধু অক্ষর নয়, আমার ফেলে আসা একটা আস্ত জীবন চাপা পড়ে আছে।
সেই পুরনো “আমি”-এর সাথে আজ আবার দেখা হলো স্মৃতির গলিতে।
যে সময়টা আর কখনো ফিরবে না, সেই সময়ের দিকে ফিরে তাকানোটা একইসাথে সুন্দর এবং যন্ত্রণার।
স্মৃতির এই আয়নাতে ধুলো জমেছে, তবু প্রতিচ্ছবিটা আজও বড্ড বেশি স্পষ্ট।
পুরোনো মেসেজগুলো পড়ছিলাম। হাসবো না কাঁদবো, ঠিক বুঝতে পারছিলাম না।
পিছনে তাকানো বোকামি নিয়ে ক্যাপশন
পিছনে তাকিয়ে থাকাটা হলো রিয়ার-ভিউ মিরর দেখে গাড়ি চালানোর মতো, দুর্ঘটনা অনিবার্য।
যা চলে গেছে, তা নিয়ে আফসোস করাটা বর্তমানকে অপমান করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
অতীত একটা শিক্ষকের মতো, তার কাছে বারবার ফিরে গিয়ে বসে থাকাটা বোকামি।
পেছনের দিকে তাকিয়ে থাকলে সামনের গর্তটা কখনোই দেখতে পাবে না।
যে অধ্যায়টা শেষ হয়ে গেছে, সেই অধ্যায়টা বারবার পড়াটা সময়ের অপচয়।
কিছু ফিরে দেখা হলো পুরনো ক্ষতে নতুন করে নুন ছিটানোর মতো।
অতীতকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকাটা এক ধরনের মানসিক পঙ্গুত্ব।
যে দরজাটা আপনার মুখের উপর বন্ধ হয়ে গেছে, সেই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার কোনো অর্থ হয় না।
পিছনে না তাকিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্যাপশন
পেছনের আয়নাটা ছোট, সামনের কাঁচটা বড়। কারণ, পেছনের চেয়ে সামনের পথটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অতীত থেকে শিক্ষা নিন, কিন্তু অতীতে বাস করবেন না।
যা হারিয়ে গেছে, তা যাক। যা আসছে, তার জন্য প্রস্তুত হোন।
পিছনে তাকানোর সময় নেই, আমার গন্তব্যটা এখনো অনেক দূরে।
দরজাটা বন্ধ করে দিলাম। পেছনের গল্পটা শেষ, এবার নতুন অধ্যায়ের পালা।
শেকড় মাটির নিচে থাকে, কিন্তু গাছটা আকাশের দিকেই বাড়ে। অতীতকে শেকড় বানান, বোঝা নয়।
আমি আমার পেছনের গল্পটা বদলাতে পারবো না, কিন্তু আমি আমার শেষের গল্পটা নতুন করে লিখতে পারি।
সফলতার প্রথম শর্ত: সামনে তাকাও, পিছনে নয়।
পেছনের ভুলগুলোই আমার সামনের পথের জ্বালানি।
পিছনে তাকানো নিয়ে ফেসবুক পোস্ট
আজ একটু পিছনে ফিরে তাকালাম। আফসোস করার জন্য নয়, শুধু দেখতে যে কতটা পথ পার হয়ে এলাম। যে মানুষটা একদিন ছোট ছোট ব্যাপারে ভেঙে পড়তো, সে-ই আজ কত বড় বড় ঝড় একাই সামলাতে শিখে গেছে।
হঠাৎ পুরনো ডায়েরিটা খুঁজে পেলাম। কত লেখা, কত স্বপ্ন! কিছু পূরণ হয়েছে, কিছু হয়নি। সেই পুরনো ‘আমি’-এর সাথে আজকের ‘আমি’-এর কত তফাৎ!
আমরা প্রায়ই বন্ধ হয়ে যাওয়া দরজাটার দিকে এত বেশি সময় ধরে তাকিয়ে থাকি যে, আমাদের জন্য যে নতুন একটা দরজা খুলে গেল, তা আমরা দেখতেই পাই না।
পিছনে তাকানোটা একটা দুমুখো তলোয়ারের মতো। কখনো এটা আপনাকে শক্তি দেয়, আবার কখনো এটা আপনাকে পুরনো যন্ত্রণায় ডুবিয়ে দেয়।
আজকের ‘আমি’টা আমার গতকালের ‘আমি’-এর ধ্বংসস্তূপের উপরই গড়া।
আমার অতীত নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই, আফসোস শুধু সেই সময়টার জন্য, যা আমি নষ্ট করেছি ঐ অতীতের দিকে তাকিয়ে।
ফেলে আসা পথটা সবসময় সুন্দর ছিল না। অনেক কাঁটা ছিল, অনেক ভুল ছিল। কিন্তু সেই ভুলগুলোই আমাকে আজকের এই মানুষটা বানিয়েছে।
পিছনে তাকিয়ে দেখলাম, যাদেরকে আমি আমার সবচেয়ে বড় শক্তি ভাবতাম, তারাই আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল।






