|

জামাই নিয়ে মজার ক্যাপশন: বাছাই করা সেরা ৮৪টি

বিয়ের বাজারে যে প্রাণীটির দাম সবচেয়ে বেশি, তার নাম ‘জামাই’। শ্বশুরবাড়িতে পা দিলেই যিনি রাজকীয় সম্মান পান (এবং মাঝে মাঝে অতিরিক্ত আদরে ভয়ে থাকেন), তাকে নিয়েই আজকের এই জামাই নিয়ে মজার ক্যাপশন-এর আসর। এই পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর জীবনের যে কী পরিবর্তন আসে, তা নিয়েই কিছু হাসির খোরাক।

জামাই নিয়ে মজার স্ট্যাটাস

শ্বশুরবাড়িতে মুরগির রানটা, আর জামাইয়ের সম্মানটা—দুটোই যেন ফিক্সড ডিপোজিট।

জামাইয়ের আর কী কাজ, শুধু সময়মতো শ্বশুরবাড়ি যাওয়া আর প্লেট খালি করা।

নিজের বাসায় যে মূল্যই পাই না, শ্বশুরবাড়িতে গেলে মনে হয়—আমিই এই এলাকার সুপারস্টার।

জামাইয়ের একটা হাঁচি দিলেও শ্বশুরবাড়িতে যে যত্ন শুরু হয়, তাতে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী মনে হয়।

শ্বশুরবাড়ির ভালোবাসা আর প্লেটের খাবার— দুটোই এত বেশি যে হজম করাটা একটু কঠিন হয়ে যায়।

দুনিয়ার সব ভুল মাফ, যদি আপনি জামাই হন আর আপনার মানিব্যাগটা ভরা থাকে।

আমার বউটা শ্বশুরবাড়ি এলেই কেমন যেন ‘স্বৈরশাসক’ হয়ে যায়, আর আমি বেচারা প্রজা।

জামাই হলো সেই বিশেষ অতিথি, যার আগমনে মুরগির স্টক শেষ হয়ে যায়।

শ্বশুরবাড়ির আদর দেখে মাঝে মাঝে ভয় লাগে, জানি না—বিদায়বেলায় পকেটটা কতটা খালি হবে।

আরো পড়ুন—👉লুঙ্গি নিয়ে স্ট্যাটাস: মজার ৭৮টি ক্যাপশন, উক্তি ও কবিতা

শালা-দুলাভাই ও শ্বশুরবাড়ি নিয়ে মজার স্ট্যাটাস

শ্বশুরবাড়ি যাওয়াটা ভয়ের নয়, ভয়ের হলো শালা-শালীর সেই লম্বা আবদারের তালিকাটা।

শালা-শালী হলো সেই গেটকিপার, যাদের ‘সালামি’ না দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ঢোকা প্রায় অসম্ভব।

শালা আর দুলাভাই— একসাথে হলেই একটা নতুন পাগলামির জন্ম হয়।

দুলাভাইয়ের টাকা আর শালার প্ল্যান— এই দুটো মিলে একটা নিখুঁত ষড়যন্ত্র হয়।

শালী হলো জামাইয়ের পার্সোনাল গোয়েন্দা, বোনের সব খবর তার কাছেই থাকে।

শালা-দুলাভাই জোট— বৌয়ের বকা থেকে বাঁচার সেরা ডিফেন্স।

আমার শালাটা আমার মানিব্যাগের একমাত্র বৈধ উত্তরাধিকারী।

শ্বশুরবাড়ি হলো সেই জায়গা, যেখানে জামাইয়ের সব দোষও গুণ হিসেবে ধরা হয়।

যে ছেলেটা নিজের বোনের সাথে সারাদিন ঝগড়া করে, সে-ই দুলাভাইয়ের কাছে এসে বলে, “দুলাভাই, আমার বোনটা কিন্তু বড্ড শান্ত।” কী এক অভিনয়!

আরো পড়ুন—👉 মজার পোস্ট, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও উক্তি: সেরা ১৪৭টি

জামাই নিয়ে মজার ক্যাপশন

আমাদের বাড়ির সবচেয়ে দামি জিনিসটা যে চুরি করেছে, তার সাথে একটা ছবি।

আমার বোনটাকে পটিয়ে, আজ সে আমাদের সবার বস হয়ে বসে আছে।

শ্বশুরবাড়িতে এসে জামাইয়ের এই হাসিমুখটা ধরে রাখা যে কত কঠিন, তা শুধু জামাইরাই বোঝে।

বিয়ের আগে ছিল বাঘ, বিয়ের পর সে-ই আমাদের বাড়ির নিরীহ বিড়াল।

আমার বোনের শপিং আর আমার ট্রিটের একমাত্র ভরসা।

আহারে বেচারা! আমার বোনটাকে বিয়ে করে জীবনটা উৎসর্গ করে দিল।

জামাই হলো সেই রাজা, যার রাজত্ব শুধু শ্বশুরবাড়িতেই চলে।

আমাদের পরিবারের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামি।

জামাই বেচারা, শাশুড়ির ভালোবাসা আর শালীর শাসনের মাঝখানে, আটকে পড়া এক নিরীহ জীবন।

আরো পড়ুন—👉মেয়ে পটানোর ফানি ক্যাপশন — ৫০টি ভাইরাল স্ট্যাটাস

জামাই আদর নিয়ে ফানি ক্যাপশন

জামাইয়ের পাতে আস্ত মুরগির রান না পড়লে, সেটা নাকি বিরাট অপমান!

জামাই: “আর খাব না।” শাশুড়ি: “আরেকটু খাও, বাবা।”—এই মিষ্টি অত্যাচারটার নামই জামাই আদর।

বিয়ের আগে ছিল শুকনা, শ্বশুরবাড়িতে এসে হয়ে গেছে গোলগাল। সব জামাই আদরের মহিমা।

ফ্রিজে রাখা সেরা মাছের টুকরাটা আর দুধের সর— সবকিছুর উপর এখন শুধু জামাইয়ের অধিকার।

জামাইয়ের অবস্থা: “খেতেও পারছি না, আবার ‘না’ও বলতে পারছি না।”

আমাদের প্রধান লক্ষ্য— জামাইকে খাইয়ে-দাইয়ে এমন মোটা বানানো, যেন সে আর অন্য কোথাও যেতে না পারে।

যে মুরগিটা এতদিন ডিম দিত, জামাই আসাতে সে-ও আজ রোস্ট হয়ে গেল।

শ্বশুরবাড়ি হলো সেই জায়গা, যেখানে জামাই পা ধোয়ার জন্যও গরম পানি পায়।

এই আদরের আসল উদ্দেশ্য হলো, জামাইকে খুশি রেখে মেয়ের সব আবদার পূরণ করিয়ে নেওয়া।

আরো পড়ুন—👉Funny captions

জামাই নিয়ে মজার ফেসবুক পোস্ট

বিয়ের পর প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছি। বুকটা এমনভাবে কাঁপছে, যেন ভাইভা দিতে যাচ্ছি। শুনলাম, আমার জন্য নাকি এলাহি আয়োজন।

জামাই হলো একটা পদের নাম। এই পদে থাকলে আপনি হাসতে পারবেন, কিন্তু জোরে নয়। খেতে পারবেন, কিন্তু পেট ভরে নয় (কারণ আপনাকে বারবার খাওয়ানো হবে)।

আমার জামাইটা খুব ভালো। সে জানে কখন চুপ থাকতে হয় (সবসময়), কখন হাসতে হয় (শাশুড়ি জোক বললে), আর কখন মানিব্যাগ খুলতে হয় (শালিরা সামনে এলেই)।

শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের অলিখিত নিয়মাবলী: ১. সবসময় হাসিমুখে থাকবেন। ২. খাবার প্লেটে যা দেওয়া হবে, তা খেয়ে শেষ করতে হবে। ৩. শালীরা যা বলবে, তাতেই সায় দিতে হবে।

বিয়ের আগে ভাবতাম, জামাইরা খুব লাকি। এখন বুঝি, এই ‘লাক’ এর পেছনে কত বড় ‘রিস্ক’ লুকিয়ে আছে।

জামাই হিসেবে আমার স্ট্যাটাসটা হলো ‘আমন্ত্রিত অতিথি’র মতো, যে কখনো বিদায় নিতে পারে না।

আমার শাশুড়ি আমাকে এত ভালোবাসেন যে, প্রতিবার যাওয়ার সময় এমনভাবে খাওয়ান, যেন আমি কোনো ফুড কম্পিটিশনে অংশ নিতে এসেছি।

জামাই হলো সেই সুপারহিরো, যার কোনো সুপারপাওয়ার নেই, কিন্তু শ্বশুরবাড়ির সবার আবদার মেটানোর ক্ষমতা থাকতে হয়।

জামাইয়ের পকেট খালি করা নিয়ে মজার পোস্ট

জামাইয়ের পকেট খালি করাটা শালা-শালীদের এক ধরনের পবিত্র দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আমরা খুব নিষ্ঠার সাথে পালন করি।

আমার জামাই যখনই শ্বশুরবাড়ি আসে, তখনই সে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে—আজ পকেট ফাঁকা হবে।

জামাইয়ের পকেট খালি করা আমাদের কাছে একটা খেলার মতো।

আসলে এই পকেট খালি করার পেছনে আমাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই। আমরা জামাইকে ভালোবাসি, তাই তার পকেটের ভার কমাতে সাহায্য করি।

আমার জামাইয়ের সবচেয়ে বড় ভয় হলো, সে শ্বশুরবাড়ি আসলে। কারণ সে জানে, তার জন্য এক বিশাল ফান্ডের অপেক্ষা করছে।

শ্বশুরবাড়ি এলেই নিজেকে একটা ‘হাঁটতে-চলতে পারা এটিএম বুথ’ মনে হয়।

“দুলাভাই, কী এনেছেন?”—এই একটা প্রশ্নই আমার মানিব্যাগের স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট হুমকিস্বরূপ।

যখনই শ্বশুরবাড়ির গেটে ঢুকি, দেখি আমার শালীরা ফুলের মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি বুঝি, এই মালাটা আমার গলায় নয়, আমার মানিব্যাগের গলায় পরানো হচ্ছে।

জামাই আদর হলো একটা মিষ্টি ফাঁদ। এই ফাঁদে আপনার পেট ভরবে, কিন্তু আপনার পকেট খালি হতে বাধ্য।

আমাদের জনপ্রিয় ক্যাটাগরি লিস্ট

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *