|

অহংকার মুক্ত উক্তি: ১৫৯+ নিরহংকার থাকার সেরা বার্তা

অহংকার হলো এমন এক আগুন, যা অন্যের ঘর নয়, বরং নিজের আশ্রয়কেই পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এটি এমন এক অদৃশ্য দেয়াল, যা মানুষকে মানুষের থেকে আলাদা করে দেয় এবং তাকে একাকীত্বের গভীর অন্ধকারে ডুবিয়ে দেয়। সত্যিকারের জ্ঞান আর প্রজ্ঞা আসে বিনয়ের হাত ধরে। যে বৃক্ষে ফল যত বেশি থাকে, তার ডাল ততটাই নুইয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি, সত্যিকারের বড় মানুষ তিনিই, যিনি তার অর্জন সত্ত্বেও মাটির কাছাকাছি থাকতে জানেন। কারণ দিনশেষে, আমাদের সবার শুরু এই মাটিতেই এবং শেষও এই মাটিতেই।

সেই বিনয়, সরলতা আর অহংকারমুক্ত জীবনের দর্শনকে শব্দে ফুটিয়ে তুলতেই আমাদের এই আয়োজন।

অহংকার মুক্ত উক্তি

যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। – হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)

মাটির উপরে এতো দাপট, এতো অহংকার! অথচ এই মাটির নিচেই আমাদের শেষ ঠিকানা। – একটি জীবনমুখী কথা

বিনয়ী হওয়া দুর্বলতা নয়, এটা আপনার পারিবারিক শিক্ষারই পরিচয়। – একটি ভাইরাল স্ট্যাটাস

যে গাছে ফল যত বেশি ধরে, সে গাছের ডাল ততটাই নুইয়ে থাকে। মানুষও ঠিক তেমনই। – একটি জনপ্রিয় প্রবাদ

অহংকার পতনের মূল। আজ যাকে আপনি তুচ্ছ ভাবছেন, কাল হয়তো তার কাছেই আপনার মাথা নত করতে হতে পারে। – বাস্তবতা

তোমার রূপ, তোমার অর্থ—এসব নিয়ে অহংকার করো না। কারণ রূপ একসময় ফুরিয়ে যাবে আর অর্থও চিরদিন থাকবে না।

অহংকার হলো জ্ঞানের অভাব। যে যত বেশি জানে, সে তত বেশি বোঝে যে সে আসলে কিছুই জানে না। – একটি দার্শনিক চিন্তা

যাহাদের তুমি নিচে ফেলিয়া রাখ, তাহারা যে তোমাকে নিচে টানিয়া ধরিবে, পশ্চাতে রাখিলে তাহারা তোমাকে পশ্চাতে টানিবে। – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিনয় হলো সেই চাবি, যা দিয়ে মানুষের হৃদয়ের দরজা খুব সহজেই খোলা যায়। – সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত

আমি কেবল একটা জিনিসই জানি, আর তা হলো আমি কিছুই জানি না। – সক্রেটিস

অহংকারী মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। এমনকি অন্য অহংকারী মানুষরাও না। – হুমায়ূন আহমেদ

যত বেশি শিখি, তত বেশি বুঝি যে আমি কত কম জানি। – অ্যালবার্ট আইনস্টাইন

বিনয়ী না হতে পারলে অন্যকে ভালোবাসা যায় না। – মাদার তেরেসা

অহংকারের প্রথম লক্ষণ হলো নিজের প্রশংসা শুনতে ভালো লাগা। – ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)

যে নিজেকে বড় মনে করে, সে আসলে বড় নয়। – লাও তজু

অহংকার মুক্ত স্ট্যাটাস

যে মাটির ওপর আজ দম্ভভরে পা ফেলছি, কাল সেই মাটির নিচেই আমাদের একমাত্র আশ্রয়। এই সামান্য সত্যটা মনে রাখলে অহংকার করার মতো আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।

পাহাড়ের চূড়ায় উঠে যারা নিচের মানুষদের ছোট দেখে, তারা ভুলে যায়—নিচ থেকেও তাদেরকেই ঠিক ততটাই ছোট দেখায়। উচ্চতা নয়, গভীরতাই মানুষের আসল পরিচয়।

নিজের জ্ঞান আর অর্জনকে যত বেশি জাহির করতে চাইবেন, ততই আপনার ভেতরের শূন্যতাটা প্রকট হয়ে উঠবে। সত্যিকারের পূর্ণিমা নিজের আলোয় উদ্ভাসিত হয়, তাকে ঢাকঢোল পেটাতে হয় না।

অহংকারী মানুষ সেই শুকনো পাতার মতো, যে সামান্য বাতাসেই মড়মড় শব্দ করে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়। আর বিনয়ী মানুষ হলো সেই সবুজ পাতা, যে নীরবে ছায়া দিয়ে যায়।

ক্ষমতার দম্ভ, রূপের বড়াই, বা অর্থের অহংকার—সবই ক্ষণস্থায়ী। দিনশেষে শুধু আপনার ব্যবহারটুকুই মানুষের মনে থেকে যায়।

আপনি যখন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে ব্যস্ত, তখন পৃথিবী আপনার জন্য থেমে থাকবে না। অহংকার আমাদের শেখার পথটাকে বন্ধ করে দেয়, আর বিনয় নতুন সব দরজা খুলে দেয়।

অহংকার দিয়ে হয়তো সাময়িক ভয় বা সমীহ আদায় করা যায়, কিন্তু মানুষের হৃদয়ের আসল আসনটা কেবল বিনয় দিয়েই জয় করা সম্ভব।

মানুষকে ছোট করে কেউ কখনো বড় হতে পারেনি। বড় হতে হলে আগে মানুষকে সম্মান করতে শিখতে হয়।

নিজের অর্জন নিয়ে গর্ব করা ভালো, কিন্তু সেই গর্ব যখন অন্যকে তুচ্ছ করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখনই সেটার নাম অহংকার।

সময়ের চেয়ে বড় শিক্ষক আর কেউ নেই। আজ যে অহংকারের চূড়ায় বসে আছে, কাল সময় তাকে মাটিতে নামিয়ে আনে।

আমি আমার রবের কাছে এক দুর্বল বান্দা ছাড়া আর কিছুই নই। অহংকার কেবল তাঁকেই মানায়।

আজ যা কিছু আমার, কাল তা হয়তো অন্য কারো হবে। মাটির পৃথিবীতে জন্মে, মাটির উপরে এত দম্ভ কিসের?

বিনয় ও সরলতা নিয়ে স্ট্যাটাস

দামী পোশাকে হয়তো আভিজাত্য আসে, কিন্তু আসল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে মানুষের বিনয়ী আচরণ আর নির্মল হাসিতে।

জীবনটাকে যত জটিল করে দেখবেন, জীবন ততটাই কঠিন হয়ে ধরা দেবে। সহজ-সরলভাবে বাঁচতে পারার মধ্যেই আসল প্রশান্তি।

বিনয়ী হওয়া মানে দুর্বলতা নয়, এটা হলো আত্মসম্মানের সর্বোচ্চ রূপ। যে নিজের মূল্য বোঝে, তার অন্যকে ছোট করার প্রয়োজন পড়ে না।

অল্পতে তুষ্ট থাকতে পারাটা একটা বিশাল গুণ। যাদের চাহিদা কম, তাদের জীবনের সুখ আর শান্তি দুটোই বেশি।

অর্থ দিয়ে হয়তো অনেক কিছু কেনা যায়, কিন্তু মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে গেলে বিনয় আর সরলতার কোনো বিকল্প নেই।

আড়ম্বরপূর্ণ জীবন হয়তো লোক দেখানো যায়, কিন্তু দিনশেষে একটা সাদামাটা জীবনই আপনাকে শান্তিতে ঘুমাতে দেয়।

সরলতা মানে বোকা বা সেকেলে হওয়া নয়। সরলতা মানে হলো, অপ্রয়োজনীয় চাওয়া-পাওয়া আর লোকদেখানো অভ্যাস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা।

বিনয় হলো সেই ভাষা, যা বধিরও শুনতে পায় আর অন্ধও দেখতে পায়।

সুন্দর চেহারা হয়তো চোখকে আকর্ষণ করে, কিন্তু সুন্দর ব্যবহার আর বিনয়ী মন—আত্মাকে আকর্ষণ করে।

যে মানুষটা যত বেশি মাটির কাছাকাছি থাকতে পারে, তার শিকড় ততটাই মজবুত হয়।

বিনয় মানে দুর্বলতা বা নিজেকে ছোট করা নয়। বিনয় হলো নিজের সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করে নেওয়ার সাহস।

আজকের এই জটিল পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো সহজ থাকা। যে এই কাজটা করতে পেরেছে, সে-ই জীবনের আসল রহস্যটা ধরতে পেরেছে।

ফুল যেমন নীরবে সুবাস ছড়ায়, বিনয়ী মানুষও ঠিক তেমনি। তার উপস্থিতিটাই চারপাশকে শান্ত আর স্নিগ্ধ করে তোলে।

আপনার অর্জন অনেক, কিন্তু আপনি যখন তা নিয়ে নীরব থাকেন, তখন আপনার সেই নীরবতা আপনার অর্জনের চেয়েও বেশি সোচ্চার হয়ে ওঠে।

অহংকার মুক্ত ক্যাপশন

আমার অনেক কিছু নেই, কিন্তু যা আছে, তাতেই আমি আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলে সুখী।

আমার পোশাক নয়, আমার ব্যবহারই আমার আসল পরিচয়।

কাউকে কিছু প্রমাণ করার নেই, নিজের কাছে নিজে সৎ থাকাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

আমি সাধারণ, কিন্তু বোকা নই। আমার সরলতাকেই আমার দুর্বলতা ভাববেন না।

আমি মাটির কাছাকাছি থাকি, তাই পড়ে যাওয়ার ভয় আমার নেই।

আমার ব্যক্তিত্বই আমার সেরা অলংকার, কোনো লোকদেখানো জৌলুসের প্রয়োজন হয় না।

চুপচাপ নিজের কাজটা করে যাই, আমার সাফল্যই একদিন শব্দ করবে।

মাথাটা শুধু স্রষ্টার সামনেই নত হয়, কোনো মানুষের অহংকারের সামনে নয়।

যে মাথাটা বিনয়ে নত হয়, সেই মাথাটাই সম্মানে উঁচু থাকে।

ঘাসফুলের মতো মাটির কাছাকাছি থাকুন, আপনার সৌন্দর্য তত বেশি ছড়াবে।

সমুদ্রের গভীরতা তার শান্ত থাকাতেই, তার গর্জনে নয়।

বড় পরিচয় একটাই—আমি একজন সাধারণ মানুষ।

সরল জীবন যাপন নিয়ে ক্যাপশন

এক কাপ চা, একটা প্রিয় বই আর একটুখানি নীরবতা— আমার সুখের জন্য এটুকুই যথেষ্ট।

জীবনটা কোনো দৌড় প্রতিযোগিতা নয়, এটা একটা সুন্দর ভ্রমণ। আমি এই ভ্রমণটা উপভোগ করছি।

বড় কোনো অর্জনের পেছনে না ছুটে, জীবনের এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোতেই আমি আনন্দ খুঁজে নিই।

চাহিদা যত কম, জীবন তত বেশি শান্ত।

দামী জিনিসের প্রয়োজন নেই, প্রিয় মানুষদের সঙ্গই আমার আসল সম্পদ।

সাদামাটা পোশাক আর একটা চিন্তামুক্ত মন, এর চেয়ে বড় বিলাসিতা আর কী হতে পারে?

প্রয়োজন কম, তাই আমার স্বাধীনতাটাও বেশি।

যা নেই তা নিয়ে আফসোস করি না, যা আছে তা নিয়েই কৃতজ্ঞ থাকি।

প্রকৃত সুখ চাহিদার তালিকায় নয়, অল্পতে তুষ্টির মাঝে লুকিয়ে থাকে।

মাটির পাত্রে জল পানের যে তৃপ্তি, তা দামী গ্লাসে নেই।

এই সাধারণ জীবনটাই অসাধারণ, কারণ এখানে কোনো মুখোশের প্রয়োজন হয় না।

যে অল্পতেই খুশি হতে জানে, এই পৃথিবীটা তার কাছেই সবচেয়ে ধনী।

মাটির মানুষ হয়ে থাকার ক্যাপশন

এই মাটির সাথেই আমার জন্ম, এই মাটিতেই আমার শেকড়। অহংকার করে যাব কোথায়?

সাফল্য যত বড়ই হোক, আমার পা দুটো যেন সবসময় মাটিতেই থাকে।

আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়—আমি একজন মানুষ। এর চেয়ে বড় কোনো পদবী আমার প্রয়োজন নেই।

আমি ভিড়ের মাঝে মিশে থাকা এক সাধারণ মানুষ, অসামান্য হওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।

রিকশাচালক থেকে অফিসার— সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলাই আমার আসল শিক্ষা।

যে সিঁড়িটা বেয়ে উপরে উঠেছি, সেই সিঁড়িটাকে আমি কখনো ভুলি না।

মাটির মানুষ হতে পারাটা দুর্বলতা নয়, এটা আভিজাত্যের সর্বোচ্চ স্তর।

যে মানুষটা রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সিইও—সবার সাথে এক ভাষায় কথা বলতে পারে, সেই প্রকৃত শিক্ষিত।

চূড়ায় উঠে যদি আপনি একাকী হয়ে যান, তবে সেই উচ্চতার কোনো মূল্য নেই।

মাটির কাছাকাছি থাকলে পতনের ভয় থাকে না।

দিনশেষে আমরা সবাই এই মাটিরই সন্তান, অহংকার করে কী লাভ?

পদবি নয়, আমার ব্যবহারটাই যেন আমার আসল পরিচয় হয়।

যেতে তো হবে এই মাটিতেই, তবে মাটির ওপর এত দম্ভ কেন?

অহংকার মুক্ত ফেসবুক পোস্ট

বিনয়কে দুর্বলতা ভাবাটা একটা বড় ভুল। যে যত বেশি জ্ঞানী, সে তত বেশি বিনয়ী। অহংকার তো কেবল অযোগ্যদেরই আস্ফালন।

ফলভরা গাছ যেমন নুইয়ে থাকে, মানুষও তেমনি জ্ঞানে-গুণে বড় হলে বিনয়ী হয়। যে পাত্র খালি, তার শব্দই বেশি।

আত্মসম্মান আর অহংকারের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। আত্মসম্মান হলো নিজেকে মূল্য দেওয়া, আর অহংকার হলো অন্যকে মূল্যহীন মনে করা।

জীবনটাকে যত বেশি জটিল করেছি, ততই অশান্তি বেড়েছে। এখন বুঝি, সাধারণ থাকার মাঝেই সবচেয়ে বেশি সম্মান আর শান্তি।

এই ক্ষণিকের জীবনে এত অহংকার কিসের? যে দেহটা নিয়ে এত গর্ব, তা তো একদিন এই মাটির নিচেই মিশে যাবে।

সৌন্দর্যের আসল প্রকাশ পোশাকে বা চেহারায় নয়, বিনয়ী ব্যবহারে। একটা সুন্দর ব্যবহারই একটা মানুষের সেরা পরিচয়।

আকাশের মতো বিশাল হতে শিখুন, সে যেমন সবকিছুকে জায়গা দেয়। সাগরের মতো গভীর হতে শিখুন।

আজ আপনি যাকে ছোট ভাবছেন, কাল হয়তো সময় তাকেই আপনার চেয়ে অনেক উঁচুতে নিয়ে যাবে। সময় বড্ড শক্তিশালী।

অহংকার না করে, আসুন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। যা পেয়েছি, তার জন্য শুকরিয়া।

মানুষের হৃদয়ে জায়গা পাওয়ার একমাত্র চাবিকাঠি হলো বিনয়ী আচরণ। আপনার টাকা বা ক্ষমতা আপনাকে সম্মান দিতে পারে, কিন্তু ভালোবাসা নয়।

বিদ্যা, ধন, ক্ষমতা—এগুলো সবই ক্ষণস্থায়ী। যা সারাজীবন থেকে যায় তা হলো আপনার সুন্দর ব্যবহার।

অহংকার হলো নিজের দুর্বলতা ঢাকার একটা মুখোশ। যে মানুষটা ভেতর থেকে সত্যিই শক্তিশালী, সে সবসময় বিনয়ী আর শান্ত থাকে।

নিজেকে “শিক্ষার্থী” ভাবুন। যেদিনই আপনি ভেবে বসবেন “আমি সবজান্তা”, সেদিনই আপনার শেখার পথ বন্ধ হয়ে যাবে।

চলুন, অহংকারের ভারী পোশাকটা খুলে ফেলি আর বিনয়ের একটা চাদর গায়ে জড়াই। দেখবেন, জীবনটা অনেক হালকা আর সুন্দর মনে হচ্ছে।

অংকারের পতন নিয়ে ফেসবুক পোস্ট

অহংকার পতনের মূল। ইতিহাস সাক্ষী, যে যত বেশি অহংকার করেছে, তার পতন তত বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয়েছে।

ইবলিসও অনেক জ্ঞানী ছিল, শুধু অহংকারই তার পতন ঘটিয়েছিল। এই একটা দোষই আমাদের সব ভালো কাজকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

সময় কাউকে ক্ষমা করে না। আজ যে ক্ষমতার দম্ভে মাটিতে পা ফেলছে না, কাল সময় তাকেই মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়।

ফেরাউনও নিজেকে খোদা দাবি করেছিল! কিন্তু শেষটা হয়েছিল সাগরের অতলে। অহংকারের শেষটা এমনই হয়।

অহংকার মানুষের চোখকে অন্ধ করে দেয়। সে তার নিজের ভুলগুলো আর দেখতে পায় না, যা তাকে পতনের দিকে ঠেলে দেয়।

আল্লাহ অহংকারীকে পছন্দ করেন না। যার মনে বিন্দু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।

অহংকার হলো একটা বেলুনের মতো। এটা যত বেশি ফুলতে থাকে, ততই তার ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে।

অহংকারের চূড়ায় উঠলে নিচের কিছুই আর স্পষ্ট দেখা যায় না। কিন্তু যখন পতন হয়, তখন সেই নিচের মাটি ছাড়া আর কোনো আশ্রয়ও থাকে না।

অহংকার আপনার চারপাশ থেকে সব প্রিয়জন আর শুভাকাঙ্ক্ষীকে নীরবে সরিয়ে দেয়। তাই পতনের দিনে পাশে দাঁড়িয়ে হাতটা ধরার মতোও কেউ থাকে না।

“পতন” শব্দটা “অহংকার” শব্দের সাথেই জন্মগতভাবে জড়িত। আজ হোক বা কাল, এটা ঘটবেই।

টাকার জোরে যে অহংকারটা আসে, টাকা ফুরালেই সেই অহংকার সবার আগে ধুলোয় মিশে যায়।

নিজেকে নিয়ে অহংকার মুক্ত পোস্ট

আলহামদুলিল্লাহ, আজকের এই সামান্য অর্জনের জন্য সমস্ত প্রশংসা মহান রবের। আমার কোনো ক্ষমতাই ছিল না, যদি না তিনি তৌফিক দান করতেন।

আপনারা আমাকে যে ভালোবাসা আর সম্মান দিচ্ছেন, আমি হয়তো তার যোগ্য নই। আমি আপনাদেরই একজন সাধারণ মানুষ।

আমি যা কিছু অর্জন করেছি, তার পেছনে আছে আমার পরিবারের ত্যাগ আর বন্ধুদের নিঃস্বার্থ সাপোর্ট। আমি একা কিছুই নই।

আমি এখনো শিখছি। আমার ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাকে পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন।

আজকের এই সাফল্য হয়তো আমার, কিন্তু এর পেছনের কারিগর আপনারা। আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি শূন্য।

“আমি” শব্দটা খুব ভয়ঙ্কর। আমি চেষ্টা করি এই শব্দটা এড়িয়ে চলতে। আমরা সবাই মিলেই এই সফলতা।

যে মাটির ঘর থেকে আমার শুরু, সেই মাটির ঘরেই আমার শেষ। মাঝখানের এই সময়টুকুতে আমি শুধু একজন বিনয়ী সেবক হয়ে থাকতে চাই।

আমার যা কিছু আছে, তা আমার রবের দেওয়া আমানত। এর জন্য অহংকার করার কিছু নেই, আছে শুধু শুকরিয়া আদায় করার।

আমি আপনাদেরই সন্তান, আপনাদেরই ভাই। আমাকে আপনাদের মাঝেই রাখুন, কখনো যেন অহংকারের দেয়াল আমাদের আলাদা করতে না পারে।

আমি বিশেষ কেউ নই। সবার মতো একজন সাধারণ মানুষ, যে তার স্বপ্নটা পূরণের জন্য প্রতিদিন একটু একটু করে চেষ্টা করে যাচ্ছে।

আমাদের জনপ্রিয় ক্যাটাগরি লিস্ট

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *